মধু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। মানুষের মধুর প্রতি আসক্তি কেবল খাওয়ার জন্য নয়। এর অসাধারণ ঔষধি গুণ আছে বলেই হাজার বছর ধরে মধু পথ্য হিসেবে সমাদৃত। নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মধু তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। এটি তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সবল রাখে। পুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তার দিক থেকে মধু শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

১. মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ, এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

২. মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা–চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

৩.এটা হৃদপেশিকে সুস্থ সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায়।

৪.মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

৫. শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা–চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।

৬. মধুতে ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।  

৭.উচ্চ রক্তচাপ কমায়  প্রতিদিন সকালে দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমবে।

৮.মধু নিয়মিত খেলে রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। অর্থাৎ রক্তনালী পরিষ্কার থাকে। সেখানে দূষিত কোনো পদার্থ যা স্বাস্থ্য হানির কারণ তা জমতে পারে না। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

৯. শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে মধু। কারণ মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিমুখ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।

১০.অল্প বয়সেই চেহারায় বয়স্কদের মতো অবস্থা দেখা যায় অনেকের। চামড়ায় দাগ, কুঁচকে যাওয়া, মলিন ও ফ্যাকাসে ভাব থাকায় চেহারায় বয়স্কদের মতো ছাপ দেখা যায়। নিয়মিত মধু খাওয়া ও মুখের ত্বকে মধু লাগানোর মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা যায়। মধুর এন্টিঅক্সিডেন্ট চেহারার তরুণ অবস্থা, সতেজতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।