পৃথিবীতে কোনো খাবারই ক্যান্সার প্রতিরোধের নিশ্চয়তা দিতে পারে না৷ তবে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন কিছুটা উন্নতি করাতে পারে। মূলত দুই তৃতীয়াংশ সবজিজাতীয় খাবার এবং এ তৃতীয়াংশ প্রাণীজ আমিষের সম্মিলনে আদর্শ খাদ্যতালিকা গড়ে নেওয়া যায়। 

রসুন : রসুনে অর্গ্যানোসালফার যৌগ নামক এক ধরনের রাসায়নিক থাকে। এই অর্গানোসালফার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং এতে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক গুণও রয়েছে। যা টিউমারের বিকাশ কমাতে কিংবা বাধা দিতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত কাঁচা রসুন চিবিয়ে কিংবা তরকারি, মাছ, মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

আদা : তাজা হোক কিংবা শুকনো, আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বিদ্যমান। নিয়মিত আদা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে সক্ষম। তাই রান্নার পাশাপাশি ফলের রস, সুজি কিংবা চায়ের সঙ্গে আদা খাওয়ার করার চেষ্টা করুন।

মাশরুম: ক্যানসার প্রতিরোধক খাবারের নামের তালিকায় প্রথমেই যেই খাবারের নামের কথা চলে আসে, তা হলো মাশরুম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের ক্যানসার প্রতিরোধে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই খাবারটি ডায়েটলিস্টে রাখতে পারেন।

কোলিনসমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি: ক্যানসার প্রতিরোধে খেতে পারেন কোলিনসমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি। কোলিনসমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শর্ষেশাক, মুলা ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব শাকসবজি ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।

ভিটামিন সি: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিউয়ি ফল খেতে পারেন। এই ফল প্রাকৃতিকভাবে ডিএনএ মেরামত করতে করে। বিশেষজ্ঞরা বলছে কেমোথেরাপির পর কিউয়ি ফল রোগীর শরীরে খুব ভালো কাজ করে। কিউয়ি ফল ছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যেকোনো ফল যেমন কমলালেবু, পাতিলেবু, আঙুর ডায়েটে প্রাধান্য দিন। শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ভিটামিন সি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

গ্রিন টি: শরীরের কোষগুলোর সুরক্ষার জন্য পান করতে পারেন গ্রিন টি। এতে রয়েছে ইজিসিজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের প্রদাহ দমন করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।